জাতীয়

সোমবার নয়, শাটডাউন বৃহস্পতিবার থেকে


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সোমবার (২৮ জুন) থেকে দেশজুড়ে সর্বাত্মক লকডাউন বা শাটডাউনের সিদ্ধান্ত তিন দিন পিছিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) শুরু হচ্ছে শাটডাউন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে শনিবার (২৬ জুন) রাতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কঠোর এই লকডাউনের সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে যানবাহন এবং জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের যান চলাচল।

সাধারণ মানুষের চলাচলের ওপরও থাকবে নিষেধাজ্ঞা। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না কেউ। তবে গণমাধ্যমের কর্মীরা কঠোর লকডাউনের বাইরে থাকবেন।

দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু অব্যাহতভাবে বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি ১৪ দিনের সর্বাত্মক শাটডাউনের সুপারিশ করে বৃহস্পতিবার। যদিও সরকার শাটডাউন নয়, এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে এই সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।

বেশ কিছুদিন আগে থেকে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাস দ্রুত ছড়ায় এবং এর সংক্রমণে মৃত্যুহার বেশি। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সীমান্তবর্তী বেশ কিছু জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ঢাকার আশপাশের সাত জেলাতেও বিধিনিষেধ জারি করা হয় গত মঙ্গলবার থেকে। এবার তৃতীয়বারের মতো সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হলো।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার ১০ দিন পর প্রথম কোনো করোনা রোগী মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই মাসের ২৬ তারিখ দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়, যেটি লকডাউন হিসেবে পরিচিতি পায়। কয়েক মাস কার্যত অচল থাকে গোটা দেশ। পরে সংক্রমণ আস্তে আস্তে কমতে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া প্রায় সবকিছুতেই বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসে দেশ। করোনা সংক্রমণ গত বছরের শেষ দিকে এমনকি চলতি বছরের শুরুর দিকে তিন শতাংশের নিচে নেমেছিল।

কিন্তু সংক্রমণের সেই নিম্নগতির ধারা ধরে রাখা যায়নি পরবর্তী সময়ে। চলতি বছরের মার্চ থেকে করোনা পরিস্থিতির আবার অবনতি হতে থাকে। এপ্রিলের শুরুতে সরকার দেশে বিধিনিষেধ এবং ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয়বারের মতোলকডাউন জারি করে। লকডাইন চলে সপ্তাহ খানেক, তবে টানা কয়েক বিধিনিষেধ চলার পর সংক্রমণ কমে আসায় শিথিল করা হয় সবকিছু।

করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে এলেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তা আবার অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে। দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে সারাদেশে শাটডাউনের সুপারিশ করে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।