জাতীয়

হাদিসুরের মরদেহ দেশে ফিরবে রোববার


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত নাবিক (থার্ড ইঞ্জিনিয়ার) মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের মরদেহ ইউক্রেন থেকে রোমানিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে রোববার (১৩ মার্চ) তার মরদেহ দেশে আসতে পারে।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায় মলদোভার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে মরদেহবাহী ফ্রিজারভ্যান। দিনগত রাত ১২টায় এটি রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছাবে।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসাইন।

তিনি বলেন, হাদিসুর রহমানের মরদেহ রোমানিয়ায় পাঠানোর সব দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবারই মরদেহবাহী কফিনটি রোমানিয়ার উদ্দেশে যেতে পারত। তবে রোমানিয়া কর্তৃপক্ষ হাদিসুরের পরিবারের সম্মতিপত্র চায়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে তার পরিবারের সম্মতিপত্র পাঠানো হয়। সব শেষ করে মরদেহবাহী কফিনটি আজ রোমানিয়ার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মরদেহটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটার দিকে মলদোভায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখান থেকে রোমানিয়ার বুখারেস্টে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টা বাজতে পারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। অলভিয়া থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে অলভিয়া বন্দরে আটকাপড়ে জাহাজটি।

গত ২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। এরপর হাদিসুরের মরদেহ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুরে ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার (শেল্টার হাউজ) থেকে মলদোভার পথে যাত্রা শুরু করেন ২৮ নাবিক। রোববার দুপুরে ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে মলদোভা হয়ে তারা রোমানিয়া পৌঁছান।

এরপর বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে জাহজটির ২৮ নাবকিকে বহনকারী তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফিরে আসা নাবিকদের স্বজনেরা প্রিয়জন ফিরে আসায় আনন্দ-সিক্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন হাদিসুর রহমানের বৃদ্ধ বাবা-মা ও ভাই। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে বিমানবন্দরের পরিবেশ।