আন্তর্জাতিক

নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটুর মৃত্যু: বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ডেসমন্ড টুটু স্থানীয় সময় গত রোববার (২৬ ডিসেম্বর) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। জনপ্রিয় ওই নেতার মৃত্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকাজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া।

দেশটির সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিশ্ববাসীও।  

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রাঁসিস, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।  

আগামী ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ডেসমন্ড টুটুর রাষ্ট্রীয় সমাধি সম্পন্ন হবে। মহান ওই নেতার মৃত্যুতে এক সপ্তাহব্যাপী ইভেন্ট আয়োজন করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রক্তিম আলোয় সাজানো হয়েছে কেপটাউন সিটি হলও ।  

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) এ খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্বাধীন হতে সাহায্য করেছেন টুটু।  

আরেক প্রবাদপুরুষ নেলসন ম্যান্ডেলার সমসাময়িক টুটুকে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয় ১৯৮৪ সালে। সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ সরকার দক্ষিণ আফ্রিকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত যে বর্ণবাদী শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার ছিল অগ্রণী ভূমিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বশেষ বর্ণবাদী শাসনের সময়কার প্রেসিডেন্ট এফডব্লিউ ডি ক্লার্কের মৃত্যুর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই মারা গেলেন টুটু’।

এদিকে ডেসমন্ড টুটুর মৃত্যুতে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার সব বয়সের, সব ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষ কেপটাউনে অবস্থিত সেইন্ট জর্জেস ক্যাথেড্রালমুখী হয়েছেন অথবা সেখানে থেমেছেন। তারা সেখানে ফুল দিয়ে এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন।  

কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্রেন্ট গোলিয়াথ নামে এক ব্যক্তি ।  তিনি বলেন, ‘টুটু একজন অ্যাঙ্গলিকানের সীমানাকে ছাড়িয়ে গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে আমি খুবই ব্যথিত। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে, আমাদের সঙ্গে তিনি ছিলেন। তার সঙ্গে অনেকবার আমার সাক্ষাৎ হয়েছে’।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘ঈশ্বরের পাঠানো জনগণের জন্য একজন সত্যিকার দূতের এই চলে যাওয়ার খবরে হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। টুটুর রেখে যাওয়া লিগ্যাসি সীমানা অতিক্রম করে যাবে এবং যুগে যুগে প্রতিধ্বনিত হবে’।

অন্যদিকে টুটুকে একজন সত্যিকার পরামর্শদাতা, বন্ধু এবং নৈতিকতার একটি কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন বারাক ওবামা। টুটুর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে তাকে স্মরণ করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এছাড়া টুটুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন।

ডেসমন্ড টুটু বেঁচে থাকবেন তার কর্ম ও অসামান্য অবদানের জন্য-এমনটাই প্রত্যাশা দক্ষিণ আফ্রিকার সাধারণ মানুষের।